দেহের সকল কোষে সঠিক ভাবে কাজ করতে আয়রন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আয়রন লোহিত রক্ত কনিকার মাধ্যমে দেহ কোষ ও টিস্যুতে অক্সিজেন সরবরাহ করে শ্বাসগ্রহণ ও ত্যাগ এর প্রক্রিয়া দারা ব্রেইন ও মাসেল (মাংস পেশী) সচল রাখে।
আয়রন এর অপর্যাপ্ততা ব্রেইন এর ক্রিয়া অচল করে দেয় যার দরুন
*নিঃশ্বাসের দুর্বলতা
*অনিয়ন্ত্রিত হার্ট স্পন্দন ( কম/বেশি)
*ক্লান্তি
*মাথা ব্যাথা থেকে অ্যানিমিয়া হতে পারে।
খাদ্য গ্রহণের পর দেহে আয়রন শোষিত হতে কিছু সময় প্রয়োজন হয়। তাই চা ও কফি (ক্যাফেইন যুক্ত খাবার) যে কোন খাবার গ্রহণের সাথে সাথে খেলে তা আয়রন শোষনে বাধাঁ দেয়।
যারা প্রায় প্রতি দিনে ১/২ বার চা কিংবা কফি পান করেন তারা যেকোন খাবার গ্রহণের ১.৩০/১ ঘন্টা আগে অথবা পরে চা কফি গ্রহণ করবেন এতে আপনাদের দেহে আয়রন শোষনে সমস্যা হবেনা।
অনেকের প্রশ্ন থাকে ক্যাফেইন যুক্ত পানিয় বিশেষত চা ও কফি গ্রহণের সাথে আয়রন এর অভাবজনিত অ্যানিমিয়া হওয়ার সম্ভাবনা কেমন??
# চা ও কফি ( ক্যাফেইনযুক্ত খাবার) গ্রহণের ফলে আপনার আয়রনের অভাবে অ্যানিমিয়া হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে মাত্রাতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহন আপনার আয়রন শোষনকে বাধা দিয়ে অ্যানিমিয়ার সম্ভাবনা বাড়ায়।
(দিনে ১/২ বার এর বেশি নয় খাবার গ্রহণ থেকে নিদিষ্ট সময় ব্যবধানে গ্রহণ)
# চা ও কফি (ক্যাফেইনযুক্ত খাবার ) গ্রহন এর মাত্রা কখনও বেশি হলে প্রানীজ প্রোটিন ( টারকি মুরগী , সামুদ্রিক মাছ, ডিমের কুসুম, লিভার, গিলা) এগুলো খাবারে গ্রহণ করতে হবে।
এগুলোর সাথে ভিটামিন-সি জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে কারন ভিটামিন-সি আয়রন শোষন বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে যার ফলে ক্যাফেইন এর খারাপ প্রভাব থেকে দেহে আয়রন শোষন বাধা গ্রস্থ হয় না।
১. শিশু,
২. অল্পবয়সী,
৩. সন্তান জন্মদান বয়স,
৪. সীমাবদ্ধ খাদ্যভাস ( সবজি ভোজী),
৫. চিকিৎসাধীন অবস্থায়
৬. অন্ত্রের সমস্যা জনিত ব্যাক্তির দেহে আয়রন এর প্রয়োজন বেশি তাই চা ও কফি ( ক্যাফেইনযুক্ত খাবার ) এড়িয়ে চলবে।
বিঃদ্রঃ প্রাপ্ত বয়স্ক সুস্থ ব্যাক্তি চা ও কফি ( ক্যাফেইন) চিনি ব্যাতিত কিংবা অল্প পরিমানে চিনি যোগে সেবন করলে শারীরিক ক্লান্তি দুর হয়।
Most. Nourin Mahfuj
Fitness Nutrition Specialist